ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়া কৃষি প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ খামারে দুধর্ষ চুরি

churiফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

উখিয়ার হিজলিয়া কৃষি প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ খামার কেন্দ্রে দুধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ চুরের দল খামারের তালা ভেঙ্গে মূল্যবান সেচ পাম্প ও যন্ত্র চুরি করে নিয়ে যায়। ফলে প্রান্তিক কৃষকরা শুস্ক মৌসুমের চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সেচ ও চাষাবাদ কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী জানান, জেলার প্রথম ও উখিয়া উপজেলার এক মাত্র কৃষি প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ খামার কেন্দ্রটি রাজাপালং ইউনিয়নের হিজলিয়া গ্রামে ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, ভূমিহীন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী পুর্ন গঠন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও গ্রামীণ অর্থনৈতিক চাঙ্গা এবং পুন:বাসনের লক্ষে অধিক খাদ্য ফলন জাতীয় কর্মসূচী বাস্তবায়নে ও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের নির্মিত্তে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ তত্ত্ববধায়নে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) কারিগরীর সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন বৃহত্তর হিজলিয়া গ্রামে কৃষি প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ খামার গড়ে তুলে। স্থানীয় চাষীরা প্রতি বছর শুস্ক মৌসুমে সেচ পাম্প দিয়ে শত শত একর জমিতে বুরো চাষ করে আসছিল।

অভিযোগে প্রকাশ, গত ২৫ অক্টোবর গভীর রাতে সংঘবদ্ধ চুরের দল প্রদর্শনী খামারের তালা ভেঙ্গে ইংল্যান্ডের তৈরি রাসর্টন নামক পাওয়ার সেচ পাম্প ও যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে সেচ ও চাষাবাদ কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী থানায় ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেছে বলে জানা গেছে।

############

উখিয়ায় কৃষকলীগের নেতা সহ পরিবারের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলার অভিযোগ

ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

উখিয়ার কৃষকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দিনেশ বড়–য়াসহ তার পিতা, মাতা, স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব পাইন্যাশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা জবর দখলকারীর হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে ভূমিদস্যুচক্র সদ্যসদের রোষানলে পড়েছে এ পরিবার। এলাকায় তদন্ত এসে মামলার ঘটনা সত্যতা না পেয়ে পুলিশও বে-কায়দায় পড়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব পাইন্যাশিয়া গ্রামের মৃত বিজয় বড়–য়ার স্ত্রী মনু বড়–য়া প্রকাশ মানদা বড়–য়া, বাদী হয়ে কক্সবাজার আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার সিআর মামলা নং- ৩০৪/২০১৬ইং। মামলায় আসামী করা হয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি দিনেশ বড়–য়া, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও তার পিতা উদয় বড়–য়া, ভাই প্রকাশ বড়–য়া, মাতা বিজয় বালা বড়–য়া ও স্ত্রী সুমি বড়–য়া।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) উখিয়া থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মঈন উদ্দিন মামলার ঘটনা তদন্ত করার জন্য সরজমিন পরিদর্শনে এসে প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পুলিশের স্বাক্ষ্য গ্রহণ কালে এলাকার চিন্তা বালা বড়–য়া (৬০) ও অনিমা বালা বড়–য়া (৫২) বলেন, মামলার বাদী মানু বালা বড়–য়া গত প্রায় ৬ মাস পূর্বে পানির কলসি নিয়ে যাওয়া পথে পিচ্ছিলে মাটিতে পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙ্গে যায়। এটি এলাকার সবাই জানে। কিন্তু মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে গত ২০ আগস্ট মারধর করে তার পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের বিরাট তথ্যের বিভ্রাট দেখে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার থ’বনে যায়।

পূর্ব পাইন্যাশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি উদয় বড়–য়া সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯৮ সালে সত্যন্দ লাল বড়–য়া স্কুলের জন্য ১০ শতক জমি দান করে। তিনি অতিসম্প্রতি মারা গেলে একই এলাকার বিজয় বড়–য়ার ছেলে সুধির বড়–য়া ও সুজিত বড়–য়ার নেতৃত্বে একদল লোক স্কুলের জমি জবর দখল করার অপচেষ্টা চালায়। এ বিষয়টি লিখিত ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবহিত করলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জায়গাটি জবর দখল থেকে রক্ষা পায়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ভূমিদুস্যচক্রের সদস্য সুধির ও সুজিতের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার স্ত্রী বিজয় বালা কে হামলা চালিয়ে অমানষিক নির্যাতন ও মারধর চালিয়ে রক্তাক্ত করে। আমার স্ত্রী গুরুতর অবস্থায় অনেকদিন উখিয়া ও কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং স্কুলের জায়গা জবর দখলে বাঁধা দেওয়ায় আমার পুরো পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হয়রানী মূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। উখিয়া কৃষকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দিনেশ বড়–য়া জানান, ৬ মাস পূর্বের ভাঙ্গা পা এর ডাক্তারী সনদ নিয়ে গত মাসের ঘটনা দেখিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। যা পুলিশ তদন্তে এসে ঘটনার সত্যতা পায়নি। হয়রানী মূলক মামলা থেকে আমাদের পরিবারকে রেহায় দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

পাঠকের মতামত: